The 5 Most Mysterious Unsolved Disappearances of All Time



টি সর্বকালের সবচেয়ে রহস্যময় অমীমাংসিত নিখোঁজ যেগুলোর আজ অবধি কোনও সমাধান হয়নি

প্রতি বছর আমাদের এই পৃথিবী তে বেশ কিছু রহস্যময় নিখোঁজের ঘটনা ঘটে, নিজেদের প্রিয়জন কে হঠাৎ করে হারিয়ে ফেলার পর তাদের পরিবার ও কাছের মানুষ গুলি একটি  অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে পর যায়।
আজ থেকে ঠিক ৬ বছর আগে যখন মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন এর ফ্লাইট ৩৭০ নিখোঁজ হয় যায় , তখন সেটি সমগ্র বিশ্বের মানুষ দের মধ্যে একটি শিহরনের সৃষ্টি করেছিল। সমুদ্রের মধ্যে প্রায় ১২০০০০ বর্গকিলোমিটার (৪৬০০০) বর্গ মাইল) জুড়ে তিন বছরের অনুসন্ধানের পরেও বিমানটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এটা পৃথিবীর সেই সকল ঘটনা গুলোর মধ্যে একটি যেগুলো সমস্ত বিশ্বের তাবড় তাবড়  কর্তৃপক্ষের ও দেশের সরকারের যাবতীয় চেষ্টা সত্তেও সেই সব রহস্যের আজও কোনও সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
আজ আমরা এরকমই পাঁচটি সর্বকালের সবচেয়ে রহস্যময় অমীমাংসিত নিখোঁজ এর ঘটনা নিয়ে আলোচনা করবো।
#ফ্যাক্ট -১

*Malaysia Airlines Flight 370 মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন এর ফ্লাইট ৩৭০
সম্ভবত সর্বকালের সবচেয়ে অবাক ও ট্র্যাজিক মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন এর ফ্লাইট ৩৭০ এর রহস্যটি২০১৪ সালের ৮ই মার্চ, ২০০ জনেরও বেশি লোক মধ্য-বাতাসে উধাও হয়ে গেছিল।আকাশ এবং জলে প্রায় তিন বছর ধরে ২০ টি দেশের তরফ থেকে প্রায় 120,000 বর্গকিলোমিটার (46,000 বর্গ মাইল) জুড়ে অনুসন্ধানের পরেও বিমানটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিমান টি এবং তার ২৩৯ জন যাত্রীর আজও অবধি কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।বাণিজ্যিক বিমানটির হঠাৎ করে কীভাবে সমস্ত রাডার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল এই রহস্যের আজও অবধি কোনও সমাধান হয়নি।
#ফ্যাক্ট -২

D.B. Cooperডী বী কুপার
প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে একজন অগ্যাত পরিচয় ব্যাক্তি আমেরিকার সিয়া টেল গামি এক বিমান হাইজাক করে।এবং সে কর্তৃপক্ষের থেকে প্রায় $ ২০০০০০ দাবি করে। ঘটনাটি ঘটে ছিল ১৯৭১ সালের ২৪সে নভেম্বর।দাবিমত টাকাটি পাওয়ার পর সে হঠাৎ করে প্লেন টি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়।দীর্ঘকালীন এফবিআই তদন্ত সত্ত্বেও, এই রহস্যময়   অপরাধী কে কখনও চিহ্নিত বা সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
#ফ্যাক্ট -৩

Mary Celeste | ম্যারি সেলেস্তে
১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই নভেম্বর ম্যারি সেলেস্তে নামক একটি বাণিজ্যিক জাহাজ আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটি থেকে কানাডার জেনয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়।ডিসেম্বর মাসের 4 তারিখ একটি ওপর কানাডিয়ান জাহাজ ম্যারি সেলেস্তে জাহাজ টি কে আটলান্টিক মহাসাগরে ভেসে থাকতে দেখে , কিন্তু জাহাজটি সম্পূর্ণ রুপে ফাঁকা ছিল।সেই জাহাজটির একজন ক্রিউ মেম্বার কেও জাহাজে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জাহাজটির ক্রিউ মেম্বার দের কি হয়েছিল  সে সম্পর্কে একাধিক তত্ত্ব রয়েছে, সবচেয়ে সাম্প্রতিকতম একটি তত্ব হল যে জাহাজের পাম্পটি কয়লা ধূলিকণায় জ্যাম হয়ে গেছিল এবং কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল কিন্তু এগুলি সবই ছিল একটি অনুমান , সেই অভিশপ্ত জাহাজটির ক্রিউ মেম্বার দের সত্যি কি হয়েছিল তা আজও একটি রহস্য।
#ফ্যাক্ট -৪

Amelia Mary Earhartআমালিয়া ম্যারি ইয়ারহার্ট
যদিও তার কোনও পরিচয় প্রয়োজন নেই, অমেলিয়া এয়ারহার্ট তার সময়ের একজন অন্যতম উজ্জ্বল বিমানচালক ছিলেন১৯৩২ সালে, তিনি আটলান্টিক মহাসাগর জুড়ে একক উড়ন্ত প্রথম মহিলা পাইলট হয়েছিলেনতিনি একজন সাহসী, আবেগী এবং দক্ষ পাইলট ছিলেন।১৯৩৭ সালে, তার বিখ্যাত ট্রান্সএ্যাটলান্টিক বিমানের পাঁচ বছর পরে তিনি স্থির করেন যে তিনি এবার সমগ্র বিশ্ব বিমানে পাড়ি দেবেন।তিনি এবং তার ন্যাভিগেটর ফ্রেড নুনান ১৯ জুন, ১৯৩৭ সালে ফ্লোরিডার মিয়ামি থেকে শুরু করলেনপ্রথম মাসের জন্য, তাদের যাত্রা ছিল সফল।সাউথ আমেরিকা , আফ্রিকা , ভারতবর্ষ  হয়ে জুন মাসের ২৯ তারিখে তারা তাদের শেষ পরিচিত স্টপ, লায়ে পৌঁছেছিলেন, যা পাপুয়া নিউ গিনির মোরোব প্রদেশে অবস্থিত

ইয়ারহার্ট এবং নুনন জুলাই ২, ১৯৩৭-এর মধ্যরাতে লা এয়ারফিল্ড থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন,লা সময় বিকেল তিনটার দিকে, এয়ারহার্ট তার বিমানের উচ্চতাটি ১০০০০ ফুট হিসাবে জানিয়েছিলেন, তবে ঘন মেঘের কারণে তারা তাদের বিমানের উচ্চতা হ্রাস করতে চলেছেন সেটাও জানিয়েছিলেন। তাদের বিমানের শেষ অবস্থান পাওয়া গেছিল লা এয়ারফিল্ড থেকে প্রায় ৮০০ মাইল দূরে নুকুমানু বলে একটি দ্বিপপুঞ্জে।এই পয়েন্টের পরে, অ্যামেলিয়া ইয়ারহার্ট এবং তার সাথি কো পাইলট ফ্রেড নুনান অদৃশ্য হয়ে যান, সেই জায়গার পর থেকে তাদের এবং তাদের ওই বিমানের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এয়ারহার্ট এবং নুনানের অন্তর্ধান সম্পর্কে একাধিক তত্ত্ব রয়েছে। সব চেয়ে আলোচিত টি হল যে তাদের পরবর্তী গন্তব্য হাওল্যান্ড দ্বীপটি অনুসন্ধান করতে গিয়ে তারা দিক হারিয়ে ফেলে এবং তাদের জ্বালানি ফুরিয়ে যায় ও প্লেন টি  সমুদ্রের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়ে যায়কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল, তবে ইয়ারহার্ট এবং নুনান বেঁচে গিয়েছিল কিন্তু তাদের কখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি অথবা তাদের হত্যা করা হয়েছিল
#ফ্যাক্ট -৫

Amy Lynn Bradleyঅ্যামি লিন ব্র্যাডলি
১৯৯৮ সালের ২৪শে মার্চ অ্যামি লিন ব্র্যাডলি তার পরিবারের সাথে একটি জাহাজের ভ্রমণ করছিলেন।ভোর ৫ টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে তার বাবা তাকে জাহাজের বারান্দায় ঘুমাতে দেখেন।কিন্তু ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর তিনি তার মেয়ে কে আর দেখতে পাননি।প্রচুর অনুসন্ধান করার পরেও  অ্যামি লিন ব্র্যাডলির কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নাএই মহিলার অন্তর্ধান আজও একটি রহস্য হয়েই রয়ে গেছে।
অ্যামি লিন ব্র্যাডলির কী হয়েছিল তা নিয়ে তিনটি তত্ত্ব প্রচারিত হয়,প্রথমটি হ'ল তিনি নেশাগ্রস্ত হয়ে জাহাজ থেকে পরে যান, দ্বিতীয় টি হল তিনি আত্মহত্যা করতে জাহাজ থেকে লাফিয়েছিলেন কিন্তু এই উভয় পরিস্থিতিই সাধারণত অসম্ভব বলে মনে করা হয় কারন তার দেহটি কখনও পাওয়া যায়নি, এবং অ্যামি একজন দক্ষ সাঁতারু ছিলেন
সেই রাতে ক্রুজ জাহাজে অ্যামি লিন ব্র্যাডলির সত্যিকার অর্থে কী ঘটেছিল সে সম্পর্কে এখনও কোন সঠিক উত্তর আজ অবধি পাওয়া যায়নি

Video Link 

Comments

Popular Posts